ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন ও আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে অবশেষে মুখ খুললেন ইশরাক, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন। তিনি সরকারের উপর ক্ষমতার লোভ, পক্ষপাতিত্ব এবং নিরপেক্ষতার অভাবের অভিযোগ এনেছেন।
ফেসবুকে ইশরাকের পোস্ট
সোমবার (১৯ মে ২০২৫) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ইশরাক বলেন, “মেয়র ফেয়র কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ এবং এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।” তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সর্বশক্তি দিয়ে ঢাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে আটকানোর চেষ্টা করছে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়।
ইশরাক আরও বলেন, “যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে তাই নয়, বরং একটি দলের প্রতিনিধির মতো কাজ করেছে, তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।” তিনি দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিচারকদের হুমকি দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করেছে। এছাড়া, আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
তিনি তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, “হাসিনার মতোই এরা ক্ষমতার লোভে অন্ধ। আমি বলেছিলাম, কবরটা ঠিক করাই আছে। লড়াই শেষ হয়নি। হয় দাবি আদায় করব, না হয় আল্লাহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব।” তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় কোনো আপস না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে, ডিএসসিসি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইশরাক সমর্থকরা মঙ্গলবার নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে গুলিস্তান এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলন করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নাজরুল বিএনপির এই কর্মসূচিকে “গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধের চেষ্টা” বলে সমালোচনা করেছেন।
ইশরাকের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এমএনএ