আজ সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে দেশের অন্তত ১৮টি জেলার বিভিন্ন এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঝড়বৃষ্টির পাশাপাশি কোথাও কোথাও ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং প্রবল বজ্রপাত হতে পারে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকেল ৪টা এবং দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে এই ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। সম্ভাব্য ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে দুই দফায় ঘোষিত মোট ১৮টি জেলা।
ঝড়বৃষ্টির সম্ভাব্য জেলা
- প্রথম দফা (দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা): ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা।
- দ্বিতীয় দফা (দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকেল ৪টা): সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঢাকা।
একাধিক জেলার নাম উভয় তালিকায় থাকায় মোট অন্তত ১৮টি জেলার ওপর দিয়ে ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাত বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বিশেষ সতর্কতা
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বজ্রপাতের ঝুঁকি থাকায় খোলা মাঠ, জলাশয় বা উঁচু গাছের নিচে অবস্থান না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাত চলাকালীন ঘরের বাইরে না যেতে এবং শেষ বজ্রধ্বনি শোনার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিট ঘরের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে।
হাওর অঞ্চলের জন্য বাড়তি সতর্কতা
সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ হাওর অঞ্চলে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি। কারণ এই এলাকাগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি বজ্রপাতপ্রবণ।
কর্তৃপক্ষের বার্তা
বজ্রপাত ও ঝড়বৃষ্টির সময় নিজ নিজ এলাকার আবহাওয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে নিয়মিতভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে কৃষক ও সাধারণ জনগণকে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আজ বিকেল পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে এমন আবহাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।