ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও সমকামিতায় বাধ্য করার অভিযোগে গঠিত তদন্ত কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গঠিত এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি—যার নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. আশরাফুর রহমান—তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কুষ্টিয়া শহরের বেসরকারি ভবন ‘দিশা টাওয়ার’-এ।
তবে ক্যাম্পাসের বাইরে তদন্ত পরিচালনা করায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। শনিবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় সাক্ষাৎকারের জন্য দশজন শিক্ষককে ওই টাওয়ারে ডাকা হয়।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমাদেরকে আগেই জানানো হয়েছিল যে ক্যাম্পাসে মতবিনিময় সভা হবে। কিন্তু পরে দেখা গেল, অভিযুক্ত শিক্ষকসহ আমাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হলো না। তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে দেখা না করেই চলে যান।”
তদন্তকারী কর্মকর্তা ড. আশরাফুর রহমান বলেছেন, “ক্যাম্পাসের পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে সাক্ষাৎকার বাইরে নেয়া হচ্ছে।”
তবে অনেক শিক্ষক এই যুক্তি মানতে নারাজ। সাক্ষাৎকারে আমন্ত্রিত এক শিক্ষক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই হওয়া উচিত। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার ঘাটতি নেই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ক্যাম্পাসে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা সম্ভব।”
শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তদন্ত বাইরে নেয়ায় প্রকৃত সত্য চাপা পড়ে যেতে পারে। তারা মনে করছেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে রক্ষা করতে একটি মহল প্রভাব বিস্তার করছে। তদন্ত প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য না হলে বিচারের প্রতি আস্থা নষ্ট হবে বলেও মন্তব্য তাদের।