ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের (২৫) মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রাম। বুধবার (১৪ মে) সকাল থেকে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। রাত ১টার দিকে তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছায়। সেই থেকে বাড়িতে চলছে শোক ও অপেক্ষা—কবে ফিরবে ছেলের নিথর দেহ!
নিহত সাম্যর বড় চাচা ডা. কাউসার আলম জানান, সাম্য ঢাবির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সাম্য ছিলেন সবার ছোট।
ডা. কাউসার বলেন, “জানি না কী অপরাধে আমার ভাতিজাকে খুন করা হলো। মৃত্যুর খবর শুনে অনেক আত্মীয়-স্বজন ঢাকায় চলে গেছে। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর গ্রামের বাড়িতে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “সাম্য আমাদের এলাকার গর্ব ছিল। উল্লাপাড়া মোমোনা আলী বিজ্ঞান স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। সে একজন শিক্ষিত, ভদ্র এবং সচেতন তরুণ ছিল।”
জানা গেছে, হত্যার আগে সাম্য মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে ডান পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রামবাসী ও স্বজনদের একটাই দাবি—দ্রুত খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।