চট্টগ্রাম বন্দর যুক্ত হলে লাভবান হবে পুরো অঞ্চল: প্রধান উপদেষ্টা

New-Project-56.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর কেবল বাংলাদেশের নয়, বরং এটি হতে পারে পুরো অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু। তিনি মনে করেন, নেপাল, ভুটান এমনকি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য— যাদের ‘সেভেন সিস্টার্স’ বলা হয়— এ বন্দর ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে।

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের ৫ নম্বর ইয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, “নেপাল ও ভুটানের তো নিজস্ব সমুদ্রবন্দর নেই। আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর তাদের জন্য একটি প্রাকৃতিক পথ হতে পারে। শুধু তাদের নয়, আমরাও লাভবান হবো। এটি কোনো অনুগ্রহ নয়, বরং পারস্পরিক লাভের বিষয়।”

তিনি আরও বলেন, “যারা এই সংযোগ থেকে নিজেদের দূরে রাখবে, তারা পিছিয়ে পড়বে। আমরা চাই চট্টগ্রাম বন্দর হোক আঞ্চলিক অর্থনীতির চালিকাশক্তি।”

নিজের শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “এই বন্দর আমার শিকড়ের সঙ্গে জড়িত। ছোটবেলায় জাহাজ দেখতে আসতাম। তখন শ্রমিকরা কাঁধে মাল নামাতো, পরে ক্রেন এলো। আজকের আধুনিক বন্দরের রূপ দেখে গর্ব হয়, কিন্তু প্রশ্নও থেকে যায়— এত ধীর উন্নয়ন কেন?”

তিনি বন্দরের কার্যকারিতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “বছরের পর বছর ধরে একই সমস্যা— যানজট, পণ্য খালাসে বিলম্ব, ট্রেন মিস করা। এই সমস্যাগুলোর সমাধানে আমি দায়িত্ব নিয়েই কাজ শুরু করেছি।”

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার। এ পথ খোলা না থাকলে কাঠামোগত উন্নয়নের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যাবে।”

প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যে স্পষ্ট যে, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বন্দর ব্যবস্থাপনার উন্নয়নই হতে পারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশের মূল চালিকাশক্তি।

Leave a Reply

scroll to top