ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সপ্তম দফার বৈঠক সম্পন্ন, বিশেষ সুবিধার দাবি ২০১৮-১৯ সেশনের জন্য

New-Project-36-2.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার সপ্তম দফা সভা সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৩ মে) উপাচার্যের কার্যালয়-সংলগ্ন ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ, ছাত্রদলসহ একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, আলোচনায় অংশ নেওয়া সংগঠনগুলো যে সাতটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, তার মধ্যে রয়েছে:

  • হল প্রাঙ্গণের বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন

  • ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিশেষ সুযোগ

  • ‘Secretary of Indigenous Affairs’ পদ সংরক্ষণ

  • সভাপতি পদে সরাসরি ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচন

  • প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা না রাখা

  • অর্থসম্পাদক পদ যুক্ত করা

  • নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট ও দৃশ্যমান নীতিমালা প্রণয়ন

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছে। ইতোমধ্যে ছয়টি দফা বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে এবং একটি খসড়া ‘ডেমোক্রেটিক কনস্টিটিউশন’ ছাত্রসংগঠনগুলোর নিকট পাঠানো হয়েছে, যা বর্তমানে সিন্ডিকেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচন পরিচালনার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ‘কোড অব কন্ডাক্ট রিভিউ কমিটি’ গঠন করে সাতটি সভা করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মতামত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “ডাকসু নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া পূর্ববর্তী ঘোষণা অনুযায়ী, মে মাসের মধ্যভাগেই নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে এবং একই সময়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

scroll to top