ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনকে বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পূর্বানুমতি ছাড়া তার বিদেশ গমন সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার পার্থ জানান, তার স্ত্রী শেখ শাইরা এবং তাদের শিশু কন্যা চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। তবে এসবি কর্তৃপক্ষের ‘ক্লিয়ারেন্স না থাকার’ কথা জানানো হলে তারা নিজ উদ্যোগে বাড়ি ফিরে আসেন। “আমরা কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। আইন আমার পেশা, যথাযথ প্রক্রিয়াতেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব,” — বলেন ব্যারিস্টার পার্থ।
এসবির অনুমতি ছাড়া বিদেশযাত্রা নয়
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক কিছু রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিদেশযাত্রীদের ব্যাপারে বিশেষ নজরদারি বাড়িয়েছে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হঠাৎ দেশত্যাগের পর ইমিগ্রেশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এসবির অধীনে এসেছে বলে সূত্রের দাবি।
পারিবারিক পরিচয়কে ঘিরে জল্পনা
শেখ শাইরা শারমিন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা। সূত্রের দাবি, এ কারণেই তার বিদেশযাত্রা নিয়ে প্রশাসনের বাড়তি সতর্কতা থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, শেখ হেলাল নিজেও বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
রাজনৈতিক প্রভাব নাকি নিরাপত্তা সতর্কতা?
যদিও ব্যারিস্টার পার্থ এ ঘটনাকে আইনের দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছেন, তবু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল ও ঘনিষ্ঠদের বিদেশযাত্রা নিয়ে সরকারপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি আরও কঠোর হয়েছে। এতে রাজনৈতিক কিংবা আত্মীয়তার ভিত্তিতেও কিছু ব্যক্তির চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের ইঙ্গিত মিলছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে?
ব্যারিস্টার পার্থ জানিয়েছেন, পরিবারের বিদেশ যাত্রা আইনানুগ উপায়ে ও এসবির অনুমতি নিয়ে আগামীতে সম্পন্ন করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা এসবির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।