দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমলেও তীব্র গরম এখনও বিরাজ করছে। তবে রাজধানী ঢাকায় আজ তাপমাত্রা প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে, ফলে গরমের অনুভূতি কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। একই সঙ্গে রয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ (সোমবার) সকালে প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন আকাশসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যদিও দিনের তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ। গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সারাদেশের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য অংশে আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে।
খুলনা বিভাগের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে অন্যান্য অঞ্চলে তা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সারাদেশে প্রায় একই রকম থাকবে।
অন্যদিকে, গতকাল রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের আজকের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি
তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও যশোর জেলায়। এছাড়া রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও শেরপুরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে, তবে কিছু কিছু অঞ্চলে তা হ্রাস পেতে পারে।
পরামর্শ
গরমে স্বস্তির জন্য পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করুন এবং বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন।