ভারত-পাকিস্তানকে যেভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করালো ট্রাম্প!

ভারত-পাকিস্তানকে যেভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করালো ট্রাম্প!
মুহাম্মাদ নূরে আলম নিজস্ব প্রতিবেদক | মুহাম্মাদ নূরে আলম

ভারত পাকিস্তান—দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা নতুন এক কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। শনিবার মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশ ‘পূর্ণ তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে।

ট্রাম্প লিখেছেন,দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত পাকিস্তান একটি পূর্ণ তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।” তিনি উভয় দেশকে সাধারণ বুদ্ধি চমৎকার কৌশল’ দেখানোর জন্য অভিনন্দন জানান।

এই ঘোষণার পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা মধ্যস্থতা যুদ্ধশঙ্কিত অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে।

ভারত-পাকিস্তানকে যেভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করালো

কূটনৈতিক তৎপরতা আলোচনার পর্দার আড়ালে

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে একাধিক দফায় কথা বলেছেন। এসব আলোচনার ফলেই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত এসেছে।

পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, শনিবার বিকেল ৫টা থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মত

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. মনিরুল হক বলছেন,এটি নিছক সাময়িক বিরতি না হয়ে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়ার সূচনা হবে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। ট্রাম্পের ভূমিকা নির্বাচনপূর্ব কৌশল হিসেবেও দেখা যেতে পারে, তবে এতে উপমহাদেশে একটা ‘ডি-এস্কেলেশন’ হয়েছে, এটা সত্য।”

বিশ্লেষকেরা আরও বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি শুধু সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ নয়, বরং রাজনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একটি সম্ভাব্য দরজা খুলে দিতে পারে।

যদিও এই যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়, তবে তাৎক্ষণিক উত্তেজনার অবসান এবং আন্তর্জাতিক মহলের নজর আবার দক্ষিণ এশিয়ার দিকে পড়া—দুটি দিকই বর্তমান বাস্তবতায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

scroll to top