কাশ্মিরে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি, এক ভারতীয় সেনা নিহত

New-Project-40.jpg

নিহত ভারতীয় সেনা দীনেশ কুমার শর্মা (বামে)

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে আবারও ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ভারতীয় এক সেনা নিহত হয়েছেন। নিহত সেনার নাম দীনেশ কুমার শর্মা, যিনি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি জম্মুর পুঞ্চ সেক্টরে নিহত হন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সিএনএন জানায়, বুধবার রাতে কাশ্মিরের বিতর্কিত অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের দিকে গোলাগুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতশাসিত কাশ্মিরের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র।

ভারতের প্রতিরক্ষা মুখপাত্রের বক্তব্য

ভারতের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারতওয়াল বলেন, পাকিস্তানি সেনারা “হালকা অস্ত্র ও আর্টিলারি গান” ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে গুলি চালিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনাও “উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া” জানিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রায় প্রতিদিনই দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। ওই হামলায় ভারতশাসিত কাশ্মিরের ওই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় পর্যটক ছিলেন।

এদিকে, ভারতের একটি প্রতিরক্ষা সূত্র সিএনএনকে জানায় যে, পাকিস্তানি সেনাদের গোলাগুলিতে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আরও ৫৭ জন আহত হয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, জম্মু ও কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) পাকিস্তানি সেনারা “বিনা উসকানিতে” ছোট অস্ত্র ও আর্টিলারি গান ব্যবহার করে গুলি চালিয়েছে। এর ফলে ১৪ দিন ধরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৭ থেকে ৮ মে রাতের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে চারজন শিশু এবং একজন সেনাসদস্য রয়েছেন। পাকিস্তানি সেনারা ভারতের “অপারেশন সিন্দুর”-এর প্রতিক্রিয়ায় মর্টার ও আর্টিলারি গোলাবর্ষণ করেছে।

এনডিটিভি আরও জানায়, জম্মুর পুঞ্চ সেক্টরে নিহত হয়েছেন হরিয়ানার দীনেশ কুমার শর্মা। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সাইনি সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে বলেন, “দেশের প্রতিটি নাগরিক আপনার আত্মত্যাগের জন্য গর্বিত। দেশ কখনও আপনার এই অবদান ভুলবে না।”

পাকিস্তানের টানা গোলাগুলির কারণে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন নিরাপদ আশ্রয়ে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে। পরিস্থিতি নজরে রাখতে সেনা ও প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

Leave a Reply

scroll to top