মতিহার হল সংস্কারে ছাত্রশিবিরের ১৮ দফা প্রস্তাব

New-Project-13-2.jpg

প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সামিউল ইসলাম সরকারের কাছে প্রস্তাবপত্র জমা

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, পরিকাঠামোগত দুর্বলতা ও অনুপযোগী পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে ১৮ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতিহার হল শাখা। এসব প্রস্তাবে আবাসন, নিরাপত্তা, পাঠচর্চা ও ধর্মীয় পরিবেশসহ ছাত্রকল্যাণের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সামিউল ইসলাম সরকারের কাছে প্রস্তাবপত্রটি হস্তান্তর করেন শাখা সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম ও সহকারী মো. ওবাইদুর রহমান।

প্রস্তাবনার মূল বিষয়বস্তু

শিক্ষার্থীদের আবাসিক, নিরাপত্তা, শিক্ষাবান্ধব এবং ধর্মীয় চর্চার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্রশিবিরের ১৮ দফা প্রস্তাবনা গুলো হলো

  • রিডিং রুমের আধুনিকায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা চালু।
  • শিক্ষার্থীদের সাইকেল রাখার জন্য নিরাপদ গ্যারেজ নির্মাণ।
  • মতিহার হল ডিবেটিং ক্লাব পুনরায় চালু করে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি।
  • হলের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ।
  • হল মসজিদে জুমার নামাজ চালু এবং এসির ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • হল লাইব্রেরি পুনরায় সচল করে পাঠচর্চার উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা।
  • গেস্টরুম, টিভি রুম ও গেমস রুম সংস্কার ও আধুনিকায়ন।
  • ডাইনিং ও ক্যান্টিনে মানসম্মত খাবার সরবরাহ এবং নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা।
  • মাদকদ্রব্য সেবন ও মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
  • উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা।
  • বৈদ্যুতিক পানির ফিল্টার স্থাপন করে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
  • গণরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের, বিশেষত মানবিক বিবেচনায়, দ্রুত সিট বরাদ্দ প্রদান।
  • হল চত্বর ও ভবনের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ।
  • শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন বিবেচনায় হল প্রাঙ্গণে খাবার ও কনফেকশনারি দোকানের ব্যবস্থা।
  • বৃক্ষরোপণ, দেয়ালচিত্র ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে হলের সৌন্দর্যবর্ধন কর্মসূচি গ্রহণ।
  • মেধা ও মননশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক কর্মসূচির আয়োজন করা।
  • হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিতি ও সুসম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুনর্মিলনী (Reunion) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
  • হল প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়ের মাধ্যমে উল্লিখিত প্রস্তাবগুলোর অগ্রগতি নিশ্চিত করা।

সংগঠনের বক্তব্য

শাখা সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “সংস্কার প্রক্রিয়ায় অনেক কাজ ইতোমধ্যে প্রশাসন শুরু করেছে। স্বল্পমেয়াদি কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে, আর দীর্ঘমেয়াদি কাজগুলোতে প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা ছাত্র সংগঠন হিসেবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ‘ছাত্র আন্দোলনের পরিবর্তন’–এর পর শিক্ষার্থীরা যে প্রত্যাশা নিয়ে আছেন, এই প্রস্তাবনা তারই ধারাবাহিক রূপ।

Leave a Reply

scroll to top