ব্রাক গ্রুপ ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্যারের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে রোববার ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম পর্বে সকাল সাড়ে ৯টায় ব্রাক ইউনিভার্সিটি ময়দানে নারী ফুটবল টিমের বিশেষ স্মারক ম্যাচ “সম্ভাবনা” অনুষ্ঠিত হয়। নারী ক্ষমতায়নে আবেদ ভাইয়ের অঙ্গীকারকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই ম্যাচের আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ফুটবলারদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নারীদের প্রতি তার বিশ্বাসকেই প্রতিফলিত করবে, যেখানে নারীরা সমান সুযোগে বড় হওয়া ও সফল হওয়ার অধিকার রাখে।
স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮৯তম জন্মদিন উদযাপনে নানা আয়োজন
সকাল ১০টায় শুরু হয় আবেদ ভাইয়ের জীবন ও কর্মের প্রদর্শনী “স্বপ্নযাত্রা: এ লাইফ অব ইমপ্যাক্ট”। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদর্শনী হলে স্থাপিত এই প্রদর্শনীতে তার শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক অবদানের নানা দিক তুলে ধরা হবে। এতে স্থান পাবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কারসহ তার অর্জনসমূহ। এছাড়া, বিশ্বজুড়ে তার গড়ে তোলা সামাজিক উদ্যোগের ইতিহাসও উপস্থাপন করা হবে।
বিকাল ২টা ৪৫ মিনিটে অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা “আবেদ ভাই: ক্ষণজন্মা এক কীর্তিমান”। এতে আবেদ ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মীরা তার সঙ্গে কাটানো সময়, সঙ্গীতপ্রীতি ও সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আবেদ ভাইয়ের ব্যক্তিগত ও পেশাদার সম্পর্কের গল্প শোনার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম তার আদর্শকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আনোয়ার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আবেদ ভাইয়ের নেতৃত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতার প্রতি তার অঙ্গীকার আজও আমাদের কাজে প্রেরণা যোগায়। এই দিনটি তার স্বপ্নকে স্মরণ করে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার সুযোগ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি নিজে এই উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য সময় বের করেছি এবং আশা করি আপনারা সবাই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত থেকে আবেদ ভাইয়ের উত্তরাধিকারকে সম্মান জানাবেন।”
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, জন্মদিনের এই আয়োজন শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং আবেদ ভাইয়ের দর্শন ও মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করে আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি মাধ্যম। শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ব্যাপক উপস্থিতিতে আবেদ ভাইয়ের স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধা আরও প্রাণবন্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।