ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত “জেসাপ হোয়াইট অ্যান্ড কেস ইন্টারন্যাশনাল রাউন্ড ২০২৫” প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এক অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রাথমিক রাউন্ডে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি যেসব শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল, তারা হলো: উজবেকিস্তানের ওয়েস্টমিনস্টার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইন তাসখন্দ, ভারতের রাজীব গান্ধী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ল’ (পাঞ্জাব), নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব অসলো এবং আজারবাইজানের এডিএ ইউনিভার্সিটি।
এই পর্বে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আজারবাইজানের এডিএ ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ ও দৃঢ় জয় অর্জন করে। প্রতিপক্ষ পরবর্তী রাউন্ডে উঠলেও এই বিজয় ছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অসীম মনোবল, দক্ষতা ও দলগত প্রচেষ্টার প্রতিফলন, যা তাদেরকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক শক্ত প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
বিশেষভাবে প্রশংসনীয় হলো নাসরিন আলমের সাফল্য। তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ মানের ওরালিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান। নাসরিন ইউসিএল, ইউনিভার্সিটি অব সিডনি, পেকিং ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো ল স্কুলের মতো খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের ছাড়িয়ে গেছেন। তার এই পারফরমেন্স আন্তর্জাতিক মানের অ্যাডভোকেসির একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
দলের দ্বিতীয় ওরালিস্ট সৈয়দ আবদুল্লাহ জাবির-ও অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করেন। তিনি এমরি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কি, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি কাতার, এলইউএমএস-এর মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের ওরালিস্টদের ছাড়িয়ে যান, যা তার যুক্তিবোধ ও আইনি বিশ্লেষণের গভীরতা প্রমাণ করে।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি দল আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে এক উজ্জ্বল অবস্থান অর্জন করে। তারা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ অনেক উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে বিশ্বসেরা আইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাতারে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করে।
এছাড়াও, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেমোরিয়াল (লিখিত যুক্তি উপস্থাপন) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসামান্য স্বীকৃতি পেয়েছে। তারা নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া – ইরভাইন, ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়া, অনারেবল সোসাইটি অব দ্য ইননার টেম্পল, বোস্টন কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব দ্য ফিলিপিনস-এর মতো বহু প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানকে ছাড়িয়ে গেছে।
এই অনন্য সাফল্য শুধু ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নয়, বরং বাংলাদেশের আইনি শিক্ষার অগ্রযাত্রায় এক অনন্য অধ্যায় রচনা করেছে।