ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকি ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির ও ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ও যৌন উত্তেজক কনটেন্টের মাধ্যমে ভিডিও প্রচার ও পণ্যের বিজ্ঞাপন করে চলেছেন। এতে সমাজে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে এবং পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকার বাধ্য এবং ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা এই নোটিশে উল্লেখ করেন, শিশু-কিশোরসহ দেশের বহু নাগরিক এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল কনটেন্টে আসক্ত। স্মার্টফোন ও সহজলভ্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিলে বিপুল অর্থ পাচার করছে। অনেক জনপ্রিয় তারকা এবং ডাক্তাররা টাকা নিয়ে এসব ভিডিও ও বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন।
নোটিশে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি পাবলিক স্পেস, সেখানে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানো গণ-উপদ্রব এবং তা ফৌজদারি আইনের ২৬৮, ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ না করায় এই মাধ্যমগুলো অশ্লীলতায় ভরে উঠেছে।
সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায়, ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করবে বলে জানানো হয়েছে।