কিংবদন্তী ভারতীয় অভিনেতা কমল হাসান। একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য করেছেন দক্ষিণী ও ভারতীয় সিনেমায়। অভিনয় জীবন ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ আলোচনায় থাকেন অভিনেতা। সেইসব আলোচনার বিষয়ের মধ্যে অন্যতম অভিনেতার দুই বিয়ে। রামভক্ত হয়েও দুই বিয়ে নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রশ্নে সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। এবার সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন তিনি।
সম্প্রতি কমল হাসান তার আসন্ন ছবি ‘থাগ লাইফ’ সিনেমার প্রচারণায় ব্যস্ত। ছবির প্রচারণা অনুষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবেই প্রবীণ অভিনেতা-চলচ্চিত্র নির্মাতা তার ব্যক্তিগত জীবন এবং বিয়ে সম্পর্কিত প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। সেই ছবিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন ত্রিশা কৃষ্ণনও। একজন সাংবাদিক যখন ত্রিশাকে তার বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন, তখন তিনি অবিবাহিত থাকার নিয়ে ভালোই আছেন জানিয়ে অভিনেত্রী বলে, যদি বিয়ে হয় তো ভালো, আর যদি বিয়ে না হয় তাতে আরও ভালো।
দুই বিয়ের প্রসঙ্গে কমলের বক্তব্য
কথার প্রসঙ্গেই নিজের দুই বিয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে উৎসাহী হন কমল। বর্ষীয়াণ এই অভিনেতা এমপি জন ব্রিটাসের সঙ্গে পুরনো একটা ঘটনার স্মৃতি চারণ করে বলেন, ‘১০-১৫ বছর আগের কথা। আমার খুবই কাছের বন্ধু এমপি জন, আমাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিল, আপনি ভালো ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে এসেছেন, তারপরও দুটি বিয়ে করেছেন? আমি বলেছিলাম ভালো পরিবারের সঙ্গে বিয়ের কি সম্পর্ক? উনি তখন বলেন আপনি তো ভগবান রামকে পূজা করেন, তাহলে তাঁর মতোই হতে চাইবেন। আমি বললাম, প্রথমত আমি কোনও ভগবানকে পূজা করি না, আর রামের পথেও চলি না। আমি সম্ভবত তার বাবাকে অনুসরণ করি, যার তিন স্ত্রী ছিলেন।’
কমল হাসানের ব্যক্তিগত জীবন
১৯৭৮ সালে দক্ষিণী নৃত্যশিল্পী বাণী গণপতিকে বিয়ে করেন কমল। ১০ বছর পর ১৯৮৮ সালে তাঁদের আইনত ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর কমল হাসান বিবাহিত থাকাকালীনই সম্পর্কে জড়ান সারিকার সঙ্গে, ১৯৮৬ সালে তাঁর প্রথম সন্তান শ্রুতি হাসানের জন্ম হয়। কমল ও সারিকা বিয়ে করেন ১৯৮৮ সালে। এরপর ১৯৯১ সালে জন্ম হয় দ্বিতীয় সন্তান অক্ষরার। তবে ২০০২ সালে কমল ও সারিকা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০০৪ সালে তাদের আইনত ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর ২০০৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অভিনেত্রী গৌতমীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন কমল হাসান। তিনি বহুবারই প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি নিজেকে বিয়ের উপযুক্ত মনে করেন না।