জাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

New-Project-16-6.jpg

জাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ এবং বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হরে কৃষ্ণ কুণ্ডুর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক শামছুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এবার বিভাগটির ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়। পাশাপাশি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় স্মৃতিচারণ করেন বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীরা। স্মৃতিচারণ শেষে বরণ করে নেওয়া হয় ৫১, ৫২ ও ৫৩তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের।

ডিনের বক্তব্য

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক শামছুল আলম নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, নবীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাচ, তারা জুলাই আন্দোলনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। জীবনের প্রতিটি নতুন অধ্যায় নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসে। লোকপ্রশাসন বিভাগ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষদ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের আসার মূল লক্ষ্য শুধু বিভাগে ভালো ফলাফল অর্জন করা নয়; এর বাইরেও আরও অনেক কিছু অর্জন করতে হবে। শিক্ষা তোমাদের তৈরি করবে একজন দায়িত্বশীল, নৈতিক এবং দক্ষ নাগরিক হিসেবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে, এই শিক্ষাজীবন এমন একটি সময়, যা তোমাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করবে।

বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, বিদায় মানেই সম্পর্ক শেষ নয়, তোমাদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক সর্বদা বজায় থাকবে।

উপ-উপচার্যের বক্তব্য

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্রান্ড ডিপার্টমেন্ট লোকপ্রশাসন বিভাগ। জাহাঙ্গীরনগরের পরিচিত দিয়েছে সারাদেশে।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, যারা তোমরা এই বিভাগে ভর্তি হয়েছে তোমরা অনেক সৌভাগ্যবান। তোমরা অনেক মেধাবী। এই বিভাগের অনেকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে।তোমরা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে আশাকরি।তোমরা তোমাদের পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রিপ্রেজেন্ট কর। সেটা সব সময় মনে রাখবে।

এসময় তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্মৃতিচারণ করে বলেন,গণতন্ত্রের রায় না মানার কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের দেশে গণতন্ত্র চর্চা হয় নাই। এর ধারাবাহিকতা ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান ও সর্বশেষ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। সবাই তোমরা গণতান্ত্রিক চেতনা ধারণ করবে। দেশে দল মত নির্বিশেষে সবাই যাতে দেশের জন্য কিছু করতে পার সেই কামনা থাকল।

লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যানের বক্তব্য

নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হরে কৃষ্ণ কুণ্ডু বলেন, “বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজনের অর্থ এই নয় যে শিক্ষার্থীরা চিরতরে বিদায় নিচ্ছেন। এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা। আমাদের বিভাগের দরজা সবসময়ই প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ভবিষ্যতেও বিভাগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে সম্পৃক্ততা বজায় থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “যদিও আমাদের বিভাগের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবুও সেসব প্রতিকূলতা আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করব এবং উত্তরণের পথ খুঁজে নেব। শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলেই আমরা এই বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। আজকের শ্রম ও মেধাই তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে।” এছাড়াও তিনি সবাইকে সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন– অধ্যাপক নুরুল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহমুদুর রহমান, বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

Leave a Reply

scroll to top