তুচ্ছ ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে এক সিনিয়র শিক্ষার্থীর উপর জুনিয়রদের হামলার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
১৭ এপ্রিল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে হামলাকারীদের শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীর ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এক লিখিত অভিযোগ জমা দেন তারা।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ৫৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন- আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) রোহান তাহিন, সোহেল ও মামুনসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগপত্রে বলা হয়- “আমরা ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ৫৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৪ টা ৪০ এর শাটলে আমাদের শিক্ষাবর্ষের পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভংকর দের উপর তর্কাতর্কির জেরে চবির আইএমলএলের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রোহান তাহিন, সোহেল, মো. মামুন ও একই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে বর্বরোচিত হামলা করে এবং শাটল থেকে মারধর করে নামিয়ে দেয়।”
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, “বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। বর্তমানে তার চলমান ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাও অনিশ্চিত। আমরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আসাদ নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, “শাটলে সিটে বসার পর পায়ের সাথে পা লাগা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এটি নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভাইটি কথা কাটাকাটির মাঝে জুনিয়র ছেলেকে তীব্রভাবে বল প্রয়োগ করলে জুনিয়র ছেলেটি পালটা বলপ্রয়োগ করে। এরপর জুনিয়র ছেলেটির কিছু সহপাঠী এসে সিনিয়র ভাইয়ের ওপর আবার চড়াও হয়। এরমধ্যে ২ জন ছেলে খুবই আক্রমণাত্মক ছিল।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “আমাদের কাছে আজ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। সেটার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেন।”