দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন, অস্থায়ী আবাসন ও সমাবর্তন ও আহতদের ফি মওকুফ বিষয়ে কাজ তেমন কিছু বা দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখাতে ব্যর্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এইসব বিষয়ে আলোচনা করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ.কে.এম রাকিব।
তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণের জন্য আরডিপি অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী সপ্তাহে। এরপর সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এখানে দৃশ্যমান কিছু দেখা যায় যায় নি।”
অস্থায়ী আবাসন ও আবাসন ভাতা এখনো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জকসু নির্বাচন বিষয়ে রাকিব জানান, খসড়া এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। এটি প্রস্তুত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসির অনুমোদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন।
সমাবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আলোচনা হবে ও সম্ভাব্য সময় হতে পারে ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে।
আহতদের এখনো সন্ধান চলছে এটি নিয়ে দু:খপ্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়াও ১৫ জুলাইয়ের আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাকিব।
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো এবং প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার দ্বারস্থ হবো।”