রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে বিঝু উৎসব থেকে নিজ ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফন্টের (ইউপিডিএফ) নেতাকর্মী বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় ভূবন চাকমা নামে চবির এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্ট থেকে বিষয়টি জানা গেছে। পোস্টের পরপরই বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঐ পোস্টের মাধ্যমে জানা গেছে, অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চারুকলা বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের রিশন চাকমা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অলড্রিন ত্রিপুরা।
ভূবন চাকমা নামে চবির ঐ শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বাঘাইছড়িতে বিঝুতে বেড়াতে এসেছিলো তারা। মূর বিঝুর দিনে তারা আমার বাড়িতে ছিলো। গতকাল তারা চট্টগ্রামের টিকেট না পেয়ে বাঘাইছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি যায়। কিছুক্ষণ আগে খবর পাই, আজ সকাল ৬.৩০ মিনিটে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে চবির এই ৫ জন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। সেইসাথে টমটম ড্রাইভারকেও তুলে নিয়ে গেছে!
তিনি আরও লেখন, “তাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই। ইউপিডিএফের এই নোংরা রাজনীতি কবে বন্ধ হবে?”
ভূবন চাকমার সাথে কথা বলে তার পোস্টের সত্যতা নিশ্চিত করা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর এমএইস আরিফ বলেন, অপহৃতদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আমাদের কাছে করা হয়নি। তবে চবির এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পারি। এরপরই আমরা বিষয়টি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলে প্রশাসনকে জানাই। প্রশাসন থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে, তাদের উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপিডিএফের সাথে কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।