‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান ও মানবতার জয়গান’ এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উদযাপন করেছে এবং বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া আটটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান তাঁর বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে তিনি একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন এবং সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তাঁর বক্তব্যের পর ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’সহ বাংলা নববর্ষের গান বাজানো হয় এবং আগত অতিথিদের মাঝে জিলাপি, সন্দেশ, কদমা, তরমুজ, আমের শরবত, বাতাসা, মুড়ি, খৈসহ বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সকাল পৌনে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, “আমরা এক বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং বিশাল সংগ্রামের পর এবারের নববর্ষ উদযাপন করছি। আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্র গঠন করে একাধিকবার হোচট খেয়েছি। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের দেশ গড়ার স্বপ্ন পুনরায় জাগ্রত হয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে আমরা সকলে একসাথে বসবাস করবো এবং নতুন বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ হবো। দেশ ও বিশ্বে মানবতার বিরুদ্ধে যেসব অন্যায় হচ্ছে, সেগুলো আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে পারব।” আনন্দ শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, মহিলা ক্লাবের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জাবি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকগণ।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এবং ছাত্র-কল্যাণ ও পরামর্শকেন্দ্রের আয়োজনে সন্ধ্যায় সেলিম আল-দীন মুক্তমঞ্চে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ বইমেলা, পুতুলনাচ, গীত-নৃত্যনাট্য, যাত্রাপালা, সঙ-সারিক, অন্তরবাদন, লোকনাট্য ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী দিবসটি উদযাপন করে।