ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মনিরুজ্জামানকে তার নির্ধারিত বাসা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, সদ্য সমাপ্ত ‘জুলাই আন্দোলন’-এ তিনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেছেন।
গতকাল রাতে তাকে জিয়া হল চত্বরে দেখা গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারা জোরালোভাবে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি তোলে। একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “তিনি আন্দোলনের সময় আমাদের ভয় দেখিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের তালিকা করে দিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।”
শিক্ষার্থীরা বলেন -“একজন পক্ষপাতদুষ্ট শিক্ষক যেন ছাত্রদের আবাসস্থানে আর না থাকতে পারেন।”
জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজমুল হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বাধীনচিন্তার জায়গা। এখানে কারও পক্ষপাতমূলক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও প্রমাণ পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বাসা খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাই।ওনাকে আমরা মার্চ মাসে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দিই।আজকে আবার কথা বললাম ওনার সাথে। আমরা আশা করি ওনি খুব শীগ্রই বাসা ছেড়ে দিবেন”।
ড. মনিরুজ্জামান অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কেবল হলের নিয়মশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেয়েছি। আমার কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ছিল না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জানানো হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাসা খালি করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, ‘জুলাই আন্দোলন’ ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-আন্দোলন, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও শিক্ষকের জবাবদিহিতার দাবিতে রাস্তায় নামে।