পিরোজপুরে চেতনানাশক ছিটিয়ে এক রাতে পাঁচ বাড়িতে চুরি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

New-Project-17-1.jpg

পিরোজপুরে চেতনানাশক ছিটিয়ে এক রাতে পাঁচ বাড়িতে চুরি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সমোদয়কাঠি ইউনিয়নে চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে সিঁধ কেটে এক রাতে ৫ বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার সমোদয়কাঠি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুহুদশকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেছারাবাদ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার। এরপর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে সিঁধ কেটে ঘরের ভেতর ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ০২ ভরি স্বর্ণালংকার বাড়ির মালিকদের অচেতন করে চোর চক্র নিয়ে যায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের সিঁধ কেটে চুরির নমুনা দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন প্রথমে স্থানীয়দের এবং পরে থানা পুলিশ খবর দেন। একই রাতে একই গ্রামের রিপন বৈদ্য,প্রশান্ত বৈদ্য,সত্য বৈদ্য ও পার্থ বৈদ্যর বাড়িতে চুরি হওয়ার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

চুরি হওয়া ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক রিপন বৈদ্য জানান, আমি কয়েকদিন আগে ০১লক্ষ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ০১টি গরু বিক্রি করে ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে টাকা ব্যাংকে রাখতে পারিনি,চোর চক্র টের পেয়ে টাকাগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে।

 

অপর ভুক্তভুগী শোভা রানী বড়াল জানান, রাত আড়াইটার দিকে গোয়াল ঘরে বাঁধা গরু গুলো দেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,সকালে উঠে দেখি আমার ব্যবহার করা দুটি সোনার চেইন নিয়ে গেছে। আমরা নিত্যান্ত গরিব তাই অনেক কষ্ট করে এই স্বর্ণটুকু ছেলেমেয়েদের জন্য জোগাড় করেছিলাম,এখন আর অবশিষ্ট কিছুই রইল না।

এ ব্যাপারে ওয়ার্ড চৌকিদার ইমরান হোসেন জানান, চুরির ঘটনা শুনে আমি থানায় অবগত করেছি,পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক চুরির আলামত স্বচক্ষে দেখে গেছেন।

ইউপি সদস্য কমলেশ রায় বলেন, ঈদ উপলক্ষে এলাকায় অপরিচিত লোকের আনাগোনা বেড়েছে, হয়তোবা তারাই এই চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। এলাকায় কয়েকদিন যাবত এরকম চুরির ঘটনা ঘটেই ঘটছে,চুরি হওয়া নমুনাগুলো একই প্রকৃতির,এছাড়া এলাকায় কিছু বখাটের উৎপাত বেড়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার বলেন,সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের কুহু দশকাঠি গ্রামে একই রাতে ০৫টি ঘরে চুরির ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চুরির আলামত দেখতে পেয়েছি।মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু লিখিত অভিযোগ পাইনি,এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে,অপরাধীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

scroll to top