জমি সংক্রান্ত ঝামেলা সমাধানের জন্য ডাকা সালিশ বৈঠকে হাবিবুর রহমান নামে এক বৃদ্ধ কে পিটি হত্যার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা লালমাই উপজেলার আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৪ মার্চ) উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পড়াশোনা করেন। তিনি হাতিলোটা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে এবং নিহত বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান (৬০) একই গ্রামের মৃত শরাফত আলির ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সঙ্গে আবদুল জলিলদের জমিসংক্রান্ত ঝামেলা বেড়েই চলছিলো । স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সোমবার সকাল ১০ টায় আবদুল জলিলদের উঠোনে সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন খোকন ও গ্রাম সর্দার সালামত উল্যাহসহ উভয়পক্ষের সালিশদাররা। বৈঠকে কথাকাটাকাটিরি একপর্যায়ে আবদুল জলিলের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের পেটাতে শুরু করলে একসময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাবিবুর রহমান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। উপস্থিত সবাই তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে হাবিবুর রহমান মারা যান।
নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, আবদুল জলিলরা আমাদের জমি দলিল করে নিয়ে গেছে। সেই জমি ফেরত আনতে সালিশ বৈঠক বসে। শত শত মানুষের সামনে আমার বাবাকে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাকিল হোসাইন বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।