গ্যাসের চুলা  বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

New-Project-2025-03-23T150322.474.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা মসজিদ এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২৩ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন, হারুন অর রশিদ (৬০), রুনা আক্তার (৪০) ও মিম (১৭)।

দগ্ধ গৃহকর্তা হারুন ওর রশিদ জানান, তারা টিনসেড বাসাটিতে ভাড়া থাকেন। ভোরে ঘুম থেকে ওঠে তার স্ত্রী সেহরির জন্য খাবার গরম করতে রান্না ঘরে যান। আর তিনি রুমে বিছানায় বসে ছিলেন। এরপরেই রান্নাঘরে বিকট বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রুম থেকে বের হয়ে রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন, তার স্ত্রীর সারা শরীরে আগুন জ্বলছে। পাশের জিনিসপত্রেও আগুন। তখন তিনি ও তার মেয়ে স্ত্রী কমলার শরীর লাগা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এতে তারাও আগুনে দগ্ধ হন। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা এসে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করে। পরবর্তীতে তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। 

তিনি আরও জানান, গ্যাস লাইন থেকে রান্না করেন তারা। হয়তো গ্যাসলাইনে লিকেজের কারণে রান্নাঘরে গ্যাস জমে ছিল। কমলা বেগম অটো গ্যাসের চুলা চালু করতেই জমে থাকা সেই গ্যাসে বিস্ফোরণ ঘটেছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘ভোরের দিকে ফতুল্লা থেকে দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে হারুন অর রশিদের শরীরের ১ শতাংশ, রুনা আক্তারের শরীরের ৬২ শতাংশ ও মিমের শরীরের এক শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে রুনা আক্তারকে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি দুজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে এই ঘটনা শুনেছি।

এরই মধ্যে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আজ ভোরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই এই ঘটনা ঘটে। গ্যাস লিকেজ থেকে হয়তো এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত পরে বলা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য,  সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহারে কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু নিয়মকানুন না মানলে এটি মুহূর্তে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। সিলিন্ডারের মুখের চাবির মান, গ্যাস সঞ্চালনের পাইপ ও চুলা-সবকিছুরই একটি মাপকাঠি রয়েছে। সেটা সবাইকে অনুসরণ করতে হবে। সিলিন্ডার রাখার ক্ষেত্রে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

Leave a Reply

scroll to top