গাজায় হামালার প্রতিবাদে খুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

New-Project-17-1.jpg

গাজায় হামালার প্রতিবাদে খুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন ফিলিস্তিনি মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর চালানো এই বর্বর – সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানাই,এবং সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে বিশ্ব মোড়লদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।একইসাথে ফিলিস্তিনি ভাই- বোনদের প্রতি সবাইকে সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান।

বক্তারা আরও বলেন,ইজরায়েলি সন্ত্রাসীবাহিনী কতৃক নারী,শিশু, স্কুল, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় প্রতিনিয়ত হামলা চালানো হচ্ছে। যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে তারা এই জঘন্যতম গণহত্যা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আমরা এই গণহত্যার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানই।

মানববন্ধনে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড.মো: নাজমুস সাদাত বলেন,” ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। এটা বন্ধ করতে বিশ্ব মোড়লদের এক হতে হবে। মুসলিম বিশ্ব যদি চায় তাহলে অনতিবিলম্বে এ গণহত্যা বন্ধ হবে। আমাদের সরকারকে জানাবো শুধু নিন্দা জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিশ্ব দরবারে বিষয়টি তুলে ধরেন।

ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকি বলেন, “আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসলেও বর্বরতা থামছে না। শুধুমাত্র নিন্দা বা প্রতিবাদ জানিয়ে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়। অত্যাচারি ভারত এবং ইসরায়েল এ বর্বরতা চালাতে থাকলে এর প্রতিকার করতে যা যা করা দরকার তার সবটুকু আমরা করবো।”

ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, “ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরতার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিশ্বের পরাশক্তির কাছে আহ্বান জানাই যাতে এই বর্বরতা বন্ধ হোক। এর সমাধান না হলে সারা পৃথিবীতে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। একইসাথে এর আশু সমাধান করতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনজামুল ইসলাম খান বলেন, “ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষদের কি অপরাধ ছিলো। ইহুদিরা তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। আজ বিশ্ব মোড়লরাও এ বিষয়ে চুপচাপ। জাতিসংঘ কোন মানবতার কথা বলে৷ বিশ্ব বিবেকের কাছে এই প্রশ্ন রাখতে চাই। আমরা যদি ঘুমিয়ে থাকি তাহলে ইহুদিরা এভাবে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন করে যাবে। সারা বিশ্বের প্রতিটা মুসলিমের উচিত ফিলিস্তিনের মানুষদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো।”

আরেক শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ বলেন, “পৃথিবীতে যত অন্যায় অপকর্ম তার অধিকাংশ সংঘটিত হয়েছে ইহুদিদের কারণে। আমি আরব বিশ্বের সকল নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই আপনারা ফিলিস্তিনের সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমাদের মুসলমান ভাইরা আজ রক্ত দিচ্ছে। অচিরেই ইনশাআল্লাহ সমগ্র বিশ্বের মুসলিম বায়তুল মুকাদ্দাসে একত্রিত হবে। তখন ইহুদিরা পানির ন্যায় ভেসে যেতে বাধ্য হবে।”

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

Leave a Reply

scroll to top