স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো বাহিনীর কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেয়া হবে না ।
জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে শায়িত পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেকেছি। এখন আমরা নির্ধারণ করব কীভাবে কী করা যায়। আগামীকাল থেকে আপনারা সুনির্দিষ্ট উন্নতি দেখবেন। সেই লক্ষে আমরা কাজ করব।
দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে অভিযান। অভিযান পরিচালনায় বাহিনীর কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের গাফিলতি পাওয়া যায় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদফতর হোক সকলকে সতর্ক ও সচেতন থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার নিশ্চিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করছে।’
এর আগে, জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর বনানীতে সামরিক বাহিনী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)সকালে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব এবং প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে তার সামরিক সচিব শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। এরপর যথাক্রমে তিন বাহিনী প্রধান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক ও শহীদ পরিবারের ছয় সদস্য ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ দিনে-রাতে কোথাও জায়গা পাবে না। আমরা টহল টিম কে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছি। তারা যদি কাজ করতে না পারে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এই আওয়ামী দোসর যারা এই কাজগুলো করছে, তাদের ঘুম হারাম করে দেব।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার পদত্যাগের দাবি আজকেই প্রথম না। যে কারণে পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে সেই কারণগুলোর যদি উন্নতি হয়, তাহলে তো পদত্যাগের প্রশ্ন থাকে না। তারা চাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন উন্নতি হয়, আমি সেটা করব।