টানেলের একটি অংশ ধসে আট শ্রমিক আটক

New-Project-2025-02-24T160702.702.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্মীয়মাণ একটি টানেলের একাংশ ধসে পড়েছে। গত শনিবার(২২ফেব্রুয়ারি) রাজ্যটির নাগারকুর্নল জেলার অমরাবাদ এলাকায় শ্রীশাইলম বাঁধের নির্মীয়মাণ বর্ধিতাংশের পেছনের টানেলটির একটি অংশ ধসে অন্তত আট শ্রমিক আটকে পড়েছেন।

টানেলে আটকে পড়ার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরেও উদ্ধারকারীরা গতকাল পর্যন্ত কূলকিনারা করতে পারেননি। এনডিআরএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার রাতেই উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গের ভেতরে গিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ডের সিলকিয়ারা টানেল থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে যুক্ত ছয় সদস্যের বিশেষ দলটিও এই অভিযানে যোগ দিয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাগারকুরনুলে অবস্থিত টানেলের একটি লিক মেরামতের সময় ধসের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত শ্রমিকদের বেশিরভাগ বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আটজন আটকা পড়েন। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কৃষ্ণা রাও জানিয়েছেন, আটক পড়াদের মধ্যে চারজন শ্রমিক এবং বাকি চারজন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তিনি উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন।

৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভেতরে রয়েছেন শ্রমিকরা। ধসের ঘটনাটি টানেলের মুখ থেকে অন্তত ১৩ কিলোমিটার ভেতরে ঘটেছে। উদ্ধারকারীরা প্রায় শেষ ১০০ মিটারে পৌঁছেছেন, কিন্তু কাদা ও পানির স্তূপ তাদের এগিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করছে। পানি না সরানো পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালানো যাবে না।

ভারতীয় সেনাবাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডো দলও সেখানে পৌঁছেছে।

মন্ত্রী কৃষ্ণা রাও জানান, টানেলের ভেতরে কাদা এতটাই জমেছে যে হাঁটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা রাবারের টিউব ও কাঠের তক্তা ব্যবহার করে এগোচ্ছেন। শ্রমিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে আমরা এখনো আশা ছাড়ছি না এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি আমরা আমাদের কার্যক্রম সফলভাবে করতে সক্ষম হবো।

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, টানেলের দেওয়ালে ফাটল দেখা গেছে, সেখানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ জন্য দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া, ধসে পড়া অংশের ছাদ এখনো অস্থিতিশীল, যা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

তেলেঙ্গানার ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডির সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্ধারকাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

scroll to top