পুরনো প্রজন্ম ছিল মাছে ভাতে বাঙালি, নতুন প্রজন্ম পোলট্রি–ভাতে বাঙালি : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

New-Project-2025-02-22T162139.923.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন  ‘আমরা মাছে ভাতে বাঙালি বলি। কিন্তু আমাদের তরুণ প্রজন্ম কি মাছে ভাতে বাঙালি। ওরা কিন্তু পোলট্রি ভাতে বাঙালি হয়ে যায়। অনেক সময় ডিম আর মাংস ছাড়া খেতে চায় না। নতুন প্রজন্মকে মাছ খাওয়াতে হবে।’

তরুণ প্রজন্মকে পোলট্রি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে মাছ খেতে অভ্যস্ত করে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সামিটের আয়োজন করে বিজম্যান মিডিয়া লিমিটেড ও বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর। এতে মৎস্য উদ্যোক্তা, গবেষক, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারকেরা অংশ নেন।

ফরিদা আখতারের জন্ম ১৯৫৩ সালে তৎকালীনপূর্ববঙ্গ জেলার চন্দনাইশ উপজেলার হারলা গ্রামে। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার অর্থ নীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি লেখক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের সাথে দাম্পত্য বন্ধনে আবদ্ধ।

ফরিদা আখতার উবিনীগ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক। তিনি বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এছাড়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে পরিচালিত কার্যক্রমের কুফল ও নারী স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে লেখালেখি করে থাকেন।

তিনি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন

শিশুদের ছোট মাছ খাওয়ানোর তাগিদ দিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাচ্চাদের ছোট মাছ খাওয়া শেখাতে হবে। মাছের একটা অপরাধ হচ্ছে, তাদের কাঁটা আছে! কাঁটার জন্য খাবে না, এটা তো হবে না। কাঁটাসহ মাছ খাওয়া শেখাতে হবে। মাছকে জনপ্রিয় করে তুলবার জন্য কাজ করতে হবে।’

মাছের স্বাদের ভিন্নতার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘মাছ পানির ধর্ম মেনে চলে। মাছের চরিত্র বুঝতে হবে। আমাদের পুকুরের মাছ, নদীর মাছ, হাওরের মাছের স্বাদ একেক রকম। আল্লাহ আমাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অংশ দিয়েছে, সেটা হলো জিহ্বা। সেটা বলে দেয়, কোন মাছটি কেমন স্বাদ।’

মৎস্যকে শিল্প বানালে মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে মন্তব্য করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘তরুণেরা মৎস্য খাতে কাজ করার জন্য যে আগ্রহ দেখাচ্ছে, এটা অত্যন্ত উৎসাহের বিষয়। মৎস্যকে শিল্প বানালে এর মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে দেখি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফুড প্রোডাকশনের যে ক্ষতিকারক দিক রয়েছে, সেটা অনেক ভাবে প্রভাবিত করবে। আপনারা শিল্প না লিখে অন্ট্রাপ্রেনার লিখেছেন, খুশি হয়েছি। কারণ অন্ট্রাপ্রেনার অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ করে।’

Leave a Reply

scroll to top