বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লড়াই না করে কিছু পাওয়া যায় না, লড়াই করে আমাদের গুলো অধিকার আদায় করবো, ন্যায্য পাওনা বুঝে নেবো। তিনি বলেন, বন্ধুত্ব চাইলে আগে তিস্তার পানি দেন, তারপর বন্ধুত্ব। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে রংপুর জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন চরে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে এদিন একই সাথে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি।’ টানা ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, তিস্তা রক্ষার আন্দোলন বাঁচা মরার লড়াই। জনগণ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে তিস্তাকে রক্ষা করবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদেরকে নিরপেক্ষ সরকার বলে, তাই ভারতের কাছে তিস্তার ন্যায্য পানি চাইতে হবে। দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন। জনগণ অনেক বছর ভোট দিতে পারেনি। তাই জনগণ চায় ভোট দিয়ে নিজের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে তাদের দ্বারা দাবিগুলো বাস্তবায়ন করাতে। অনেককে বলে, আমরা নাকি ভোট ভোট করি, ভোট হলে দেশে যে অস্থিতিশীলতা চলছে, তা বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, আপনারা কতবার ভোট দিতে পারেন নাই। আমরা ভোট দিতে চাই। ভোট দিয়ে নেতৃত্ব চাই। ওরা বলে, আমরা শুধু ভোট ভোট করি। ভোট ভোট করার কারণ হচ্ছে একটাই, সেটা হলো আমরা জনপ্রতিনিধি চাই। দেশে যে অশান্তি চলছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারত একদিকে পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের শত্রুকে তারা আশ্রয় দিয়ে দিল্লিতে রাজার হালে রেখেছে। ওখানে বসে বসে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুকুম জারি করেন। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতারা বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতকে সম্পর্ক গড়তে হবে। ভারতের আগ্রাসী নীতি জনগণ মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেন তারা।
জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি জানাতে তিস্তাপাড়ে এসেছেন।