বিভিন্ন সময় আমলাতন্ত্রকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

New-Project-10.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় আমলাতন্ত্রকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে ।

রবিবার (২রা ফেব্রুয়ারি) সাভারে বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের ৭৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

আমলাতন্ত্রের সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় আমলাতন্ত্রকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার সময় এসেছে। এজন্য আমলাতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তরুণ প্র জন্ম মেধাভিত্তিক ও পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করতে চায়। এজন্য সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। সংস্কার কমিশনসমূহের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তন হবে না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি হওয়া উচিত। এর পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মমূল্যায়ন পদ্ধতিরও সংস্কারের প্রয়োজন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর আস্থা রেখেই জনগণ ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে। তিনি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবীন কর্মকর্তাদের আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

তথ্য উপদেষ্টার সেশন পরিচালনার সময় বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর সাঈদ মাহবুব খান-সহ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সেশনে ৭৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ২২টি ক্যাডারের ৬০৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে তিনি দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এই জন্য গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারতো কিন্তু করেনি। তখন অনেক মানুষ আমাদের সাথে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করতো। তাই এই সরকার অনেক বিষয়ে রাজনৈকিত দলগুরোকে বেশি প্রধান্য দিয়ে এসছে। যেমন রাষ্ট্রপতি অপসারণের একটি বিষয় উঠেছিল। আমরা তখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান্য দিয়েছি

তখন দল গঠন করলে অনেক বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, এখনো হয়তো চান। তাই তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। সরকার অনেক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। রাষ্ট্রপতি অপসারণের কথা উঠেছিল। তখন আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শকে প্রাধান্য দিয়েছি।

উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ড. ইউনূসকে সরিয়ে অন্য কিছু ভাবেন তবে তাদের (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) তাহলে সেটা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।

Leave a Reply

scroll to top