রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে সকাল ৯ টায় মহানগর কোতোয়ালি থানা থেকে তাকে কড়া প্রহরায় আদালতে নিয়ে আসা হয়। শুনানিতে এ মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজার রহমান। রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন ও রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ইতফা আক্তার।
তিনি আদালতকে বলেন, তিনি এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। তার বাড়ি লালমনিরহাটে, কিন্তু হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরে। শুধু রাজনৈতিক কারণে তাকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিস গলির তার ভাগ্নের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি।
গ্রেফতারের পর রাত পৌনে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় রংপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতকড়া না থাকায় গাড়ি আটকে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে চাপের মুখে সাবেক মন্ত্রীকে হাতকড়া পরানো হয়।
এ সময় লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিচার দাবি ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গাড়িতে তোলার পর তাকে হাতকড়া পরানোর দাবিতে পুলিশের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে গাড়ি আটকে দেন। তাকে লক্ষ্য ডিম ছুড়ে মারা হয়। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে তাকে হাতকড়া পরিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরপিএমপি কমিশনার মো. মজিদ আলী জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বোনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে।