২০২৩ সালে সুইডেনে প্রকাশ্যে কোরআন পুড়িয়ে ফেলা অনুমতি দিয়েছিল সেই দেশেরে সরকার ৩৮ বছর বয়সী ইরাকী শরণার্থী সালওয়ান মোমিককে। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সুইডেনের স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) স্টকহোমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাকে হত্যা করা হয়।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আজ মোমিকার বিরুদ্ধে আদালতের রায় দেওয়ার কথা ছিল। তবে আদালতে উপস্থিত হওয়ার আগেই গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।
সুইডেনের স্টকহোম পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ড সন্দেহে তদন্ত শুরু হয়। এতে জড়িত থাকার দায়ে অন্তত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০২৩ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রথম দুইবার কোরআন পোড়ান মোমিকা। প্রথম দফাটি হয় স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে। দ্বিতীয়টি ইরাকি দূতাবাসের বাইরে। এই নিয়ে বিশ্বব্যাপী কঠিন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে মুসলিমরা। বিভিন্ন দেশের বাকস্বাধীনতা আইনের অজুহাতে সুইডিশ পুলিশ কর্তৃক অনুমোদিত এই ধর্ম অবমাননাকর কাজটি মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ ও নিন্দার ঢেউ ছড়িয়ে দেয়।
গত আগস্টে সুইডেনের একজন প্রসিকিউটর মোমিকা ও কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘একটি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের’ অভিযোগ আনেন।
সালওয়ান মোমিক সম্পর্কে যা জানা যায়, ৩৮ বছর বয়সী এই ইরাকি ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি লাভ করেন। তিনি ওই বছর একাধিকবার কোরআন অবমাননা করেন। ‘বাক স্বাধীনতার’ দোহাই দিয়ে সুইডেনের সরকার মোমিকার এই কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়েছিল। এ সময় তাকে দেশটির সরকার নিরাপত্তা প্রদান করেন।
এই নিয়ে একের পর এক যখন প্রতিবাদ আসতে থাকে। দেশটির সরকারকে বলা হয় এমন চলতে থাকলে ইসলামপন্থীরা সুইডেনে হামলা চালাতে পারে। বিক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে সুইডিশ সরকার মোমিকার রেসিডেন্স পারমিট বাতিল করে। তবে তাকে নিজ দেশ ইরাকে ফেরত পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা তারা করেনি। এই নিয়ে সেই দেশে মামরা চলমান থাকে । সেই ঘটনা নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টসহ বেশ কিছু বিশ্ব নেতারা কোরআন পোড়ানো প্রতিবাদ করেন। সেই ঘটনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সুইডিস সরকার। যদিও ঘটনাটি নিয়ে সুিইডেনের পাশে দাঁড়াই অনেক দেশ। পরে তারাও সমালোচনার মুখে পড়ে।
সুইডিশ মিডিয়া জানায়, ঘটনার সময় ওই যুবক টিকটক লাইভে ছিলেন। পরে পুলিশ এসে ফোন থেকে লাইভ শেষ করে।