“মানুষ আসলে ই বাপ্পারাজ” কথাটি বাংলাদেশে ইন্টারনেটে বেশ জনপ্রিয় একটি মিম বা ব্যঙ্গাত্মক উক্তি। এটি সাধারণত মজার বা রসিকতার করার জন্য ব্যবহার করে নেটিজেন্টরা।
তবে এই উক্তির উৎপত্তি ও জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে নানা কারণ:
যেমন বাপ্পারাজ চরিত্রের সাথে সাধারণ মানুষ জীবনের যে ঘনিষ্ঠ বন্ধন সেই বন্ধন ই বাপ্পারাজ চরিত্রটিকে প্রায় ৪ দশক বাচিঁয়ে রেখেছে। যা অনেক শক্তিমান অভিনেতার ক্ষেত্রেও সাধারণত দেখা যায় নায়ক।মূলত ৮০ ও ৯০ দশকের জনপ্রিয় সিনেমার নায়ক ও সহ-নায়ক ছিলেন বাপ্পারাজ। তার চরিত্রে অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য ছিল কখনো দুঃখী প্রেমিক,কখনো আত্মত্যাগী ব্যক্তি, বিচক্ষণ ও ঠান্ডা মাথার মানুষ, নায়কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ।সিনেমার এক পর্যয়ে দেখা যেত তার সেই বন্ধুর কাছে ই তা হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা বা তার পছন্দের মানুষটি সেই বন্ধুর বউ কিংবা প্রেমিকা। তখন নিজের বন্ধুত্বের খাতিরে সেই প্রেমকে ভূলে যান বা বন্ধুর প্রেমিকিা কে পাইয়ে দিতে নিজের প্রেমকে আত্মত্যাগ করে ।
মানুষের জীবনেও এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন তারা সব কিছু জেনে না বোঝার মতো করে মুখ বুঝে সব কিছু সহ্য করে , আবেগপ্রবণ হয় এবং শেষে নিজেকে নিয়ে খেলার সুযোগ করে দেয় জীবনকে।সাধারণ মানুষের সাথে বাপ্পারাজের চরিত্রে একনিষ্ঠতা ই বাপ্পারাজ কে মানুষের মনে রাখার অন্যতম কারণ। যেমন বাস্তব জীবনে মানুষ কখনো সৎ,কখনো আবেগপ্রবণ, কখনো আবার সহজ-সরল। তাই মজা করে বলা হয় “মানুষ আসলেই বাপ্পারাজ” অর্থাৎ সব মানুষ কোন না কোনভাবে বাপ্পারাজের চরিত্রে মতোই।
এই প্রবাদটি প্রসারে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছে মিম কালচার ও ইন্টারনেটের প্রসারঃ
বাংলাদেশের মিম কালচার খুব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বাপ্পারাজ কে নিয়েও ট্রোল ও মজার পোস্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত ই।
সাধারণত কয়েকটি বিষয় কাজ করে এই পোস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে:
যেমন কেউ যদি খুববেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে ।
কেউ যদি অন্যায় সহ্য করে চুপচিাপ থাকে ।
জীবন নিয়ে হতাশ থাকে কিংবা খুব বেশি ব্যক্তিত্বের নায়ক হতে চায় কিন্তু বাস্তবতা থাকে একেবারেই ভিন্ন।
মূল কথা হলো “মানুষ আসলে ই বাপ্পারাজ” একটি ইন্টারনেট মিম,যা মানুষের আবেগপ্রবণ, আত্মত্যাগী বা দুঃখী চরিত্রের সাথে বাপ্পারাজের চরিত্রগুলোর মিল খুঁজে পান নেটিজেন্টরা। এটি সম্পূর্ণ রসিকতার জন্য ব্যবহার হয়। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় ৮০-৯০ দশকের সিনেমার সংলাপ গুলো কতটা সাধারণ মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম ছিল।
