দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। জুলাই আন্দোলনের পর কিছুটা আড়ালে রয়েছেন চঞ্চল। দীর্ঘদিন নতুন কাজের খবরে পাওয়া যায়নি তাকে। অবশেষে আড়াল ভেঙে নতুন কাজ নিয়ে ফিরছেন অভিনেতা।আগামী ২৯ জানুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে তার অভিনীত সিরিজ ফেউ।
ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে যার টিজার। যেখানে একটি সংলাপে শোনা যায়-ও সুনীল দা, ফেউ কারা? প্রত্যুত্তরাটা ছিল এমন- এজেন্ট। সরকারি গোয়েন্দা-গে এজেন্ট কয়। ফেউ শব্দের আভিধানিক অর্থ শৃগাল বা অন্যভাবে বললে বাঘের পেছন থেকে ডেকে ডেকে বাঘের আগমন জানিয়ে দেয় এমন শৃগাল।
চালাক প্রকৃতির অনুসরণকারী হিসেবেও ফেউ এর ব্যবহার দেখা যায়। ফেউ লাগা মানে কারও পেছনে লেগে তাকে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত বা বিরক্ত করা। দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের সময় নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটা অংশ আশ্রয় নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মরিচঝাঁপিতে। একসময় শরণার্থীদের উচ্ছেদ করতে খাবার ও পানি বন্ধ করে দেয়া হয়। ঘরে আগুন দেয়া, নৌকা ডুবিয়ে দেয়া, নির্বিচারে মানুষ হত্যার ঘটনাও ঘটে। এই ইতিহাসের অনুপ্রেরণায় ফেউ বানিয়েছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান। এতে চঞ্চল অভিনয় করেছেন ফটোগ্রাফার সুনীল চরিত্রে।
সিরিজটিতে ইতিহাসের একটা ছায়া রয়েছে। সেসব ঘটনার অনেক তথ্য সুনীল তার ক্যামেরায় ধরে রাখে বলে জানান অভিনেতা। ফেউ সিরিজের শুটিং হয়েছে সুন্দরবনের গভীরে। সে অভিজ্ঞতা জানিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘আমরা যখন শুটিং করেছি, তখন ছিল তীব্র ঠাণ্ডা।মাসখানেক সুন্দরবনে শুটিং হয়েছে। আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠাণ্ডা লাগত। সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলে কুমিরসহ বিভিন্ন পশুপাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শুটিং স্পটে যেতাম ছোট ট্রলারে। রাতেও শুটিং করতে হতো। খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল।
ফেউ সিরিজে আরো অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ।