হামাস-ইসরায়েল চুক্তির বাস্তবায়ন হচ্ছে আজ। গাজায় স্থানীয় সময় রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায় কার্যকর হবে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি।
যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এক বক্তৃতায় হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হলে হামাসের বিরুদ্ধে ফের যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত ইসরায়েল। খবর বিবিসি’র।
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন সহ্য করবে না জানিয়ে নেতানিয়াহু জনিয়েছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির তালিকা না পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকরে অগ্রসর হবে না ইসরায়েল।
ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্ট কানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের (রোববার) মধ্যেই মুক্তি পাওয়া তিন জিম্মির নাম পেতে পারে।
ইসরায়েলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে যে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এখনো তালিকার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষগুলো বলছে, রোববার যে তিন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে তাদের নাম এখনো পাননি। এ বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেছে, জিম্মিদের মধ্যে ৩৩ জন ইসরায়েলে ফিরছে। যেহেতু তারা বেঁচে রয়েছেন। এজন্য তার সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগিতায় অর্জিত হয়েছে। তবে ‘যুদ্ধবিরতি সাময়িক’ এবং ‘অভিযান এখনো শেষ হয়নি’ জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, আবার গাজায় হামলা চালানোর অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, উভয়ে সমর্থন করবেন। আমরা যদি আবার হামলা শুরু করি, তা হবে আরও জোরালো।
‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিয়েছি’ জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাস বর্তমানে ‘সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ’।
এর আগে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, জিম্মিদের মধ্যে কাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে, হামাসের সেই তালিকা আমাদের হাতে না আসা পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি করবে না। চুক্তির লঙ্ঘন সহ্য করবে না ইসরায়েল।