পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭০ সন্ত্রাসী নিহত, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

New-Project-16-2.jpg

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবদেন

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে একাধিক সশস্ত্র হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, বেসামরিক নাগরিক এবং সন্ত্রাসী রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এই হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ঘটে লাসবেলা জেলার বেলা শহরে, যেখানে একটি প্রধান মহাসড়কে যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় ১৪ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য এবং ২১ জন সন্ত্রাসী নিহত হন ।

ভারতের সরকারি সূত্রের মতে

সরকারি সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ৭০ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। সূত্র জানিয়েছে, অপারেশন সিন্দুর কেবল সামরিক প্রতিশোধের চেয়েও বেশি কিছু ছিল।

অভিযানে যেসব স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেগুলোকে দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এদের মধ্যে বেশিরভাগই লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। সূক্ষ্ম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অপারেশনাল সক্ষমতায় গুরুতর আঘাত হেনেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

সরকারি সূত্রের বরাতে আরও জানা গেছে, ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এসব সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরবরাহ ও লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া হতো। এ কারণেই এই হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার মধ্যকার যোগসূত্র ভেঙে দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বিষয়টি তুলে ধরা।

পাকিস্তানের দাবি

পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে, এই হামলায় অন্তত ৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন, এ ছাড়া আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পাল্টা বক্তব্যে জানিয়েছে, হামলাগুলো অত্যন্ত নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর পরিচালিত হয়, যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়। ভারত জোর দিয়ে বলেছে, এই অভিযানে কোনও পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়নি।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া

বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে সরকারি সূত্র বলেছে, বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ ভারত ও পাকিস্তান—উভয় পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ভারত আত্মরক্ষার অধিকার চর্চা করেছে বলেই আন্তর্জাতিকভাবে সহানুভূতি এবং সমর্থন পেয়েছে।

Leave a Reply

scroll to top