দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা দেশের চলমান কোভিড পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আজ শনিবার (১৪ জুন) প্রকাশিত নিয়মিত করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর ফলে, দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০৭ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এই সাতজনের করোনা শনাক্ত হয়। একই সময়ে পাঁচজন রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০৬ জন। দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০২ জন অপরিবর্তিত রয়েছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। এর মাত্র ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বজুড়ে মহামারির আকার ধারণ করা এই ভাইরাসের কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ২০২৩ সালের মে মাসে প্রত্যাহার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যা বিশ্বের জন্য একটি স্বস্তির খবর ছিল।
তবে, নতুন করে শনাক্তের ঘটনাগুলো এমন এক সময়ে ঘটছে যখন ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি নতুন উপধরন, জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই জেএন.১ উপধরনকে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে, কারণ এটি দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। যদিও এর সংক্রমণের তীব্রতা নিয়ে এখনও বিস্তারিত গবেষণা চলছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের জন্য উদ্বেগের কারণ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং জেএন.১ উপধরনের উপস্থিতি আবারও সবাইকে সতর্ক থাকার বার্তা দিচ্ছে। বিশেষ করে জনসমাগম এড়ানো, মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করানোর মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, শীতকালীন ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেও কোভিড-১৯-এর নতুন ঢেউ ঠেকাতে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে জনগণকে আপডেট তথ্য সরবরাহ করবে।
