বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) ৯ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে অন্তত চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৩.৮ থেকে ৪.৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পগুলো মঙ্গলবার রাত ৩টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে আঘাত হানে। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এনসিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৩টা ১ মিনিটে। এর মাত্রা ছিল ৩.৯ রিখটার স্কেল, এবং উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের শান রাজ্যের নানসাং শহর থেকে ২১৮ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে।
দ্বিতীয় কম্পনটি অনুভূত হয় ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে। এটি ভারতের আসাম রাজ্যের দিব্রুগড় থেকে ২৭৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে উৎপত্তিস্থল ছিল এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩.৮।
পরবর্তী দুটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪-এর বেশি। এর মধ্যে প্রথমটি বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) আঘাত হানে। এটি ভারতের মণিপুর থেকে ১৫৩ কিলোমিটার দূরে উৎপন্ন হয়েছিল এবং এর মাত্রা ছিল ৪.১।
সবশেষ ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় বেলা ১১টা ৫১ মিনিটে, যার মাত্রা ছিল ৪.৩ রিখটার স্কেল। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মণিপুর থেকে ১৬৩ কিলোমিটার দূরে।
এই চারটি ভূমিকম্পের কারণে মিয়ানমার বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘন ঘন ভূমিকম্পের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্প সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে একটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৫০০ ছাড়িয়েছিল। দেশটির জান্তা সরকার এই ভূমিকম্পগুলোকে ব্যবহার করে ত্রাণ নিয়ে কারসাজি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। আজকের ভূমিকম্পগুলো সেসব বড় ঘটনার তুলনায় কম শক্তিশালী হলেও, ঘন ঘন কম্পনগুলো এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক সক্রিয়তা নির্দেশ করে।