পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ২০ মণের বিশাল দানব আকৃতির রানী শংকর জাতের ষাঁড় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুবেল নামের গরুটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দূলর্ভপুর ইউনিয়ন আট রশিয়া, দামো দিয়ার এলাকায় আতাউর রহমান এর বড় ছেলে গরু ব্যবসায়ী মনিমুল ইসলামের রুবেল গরুটি এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে।
মনিমুল ইসলাম জানান, ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুবেলকে কোরবানির ঈদের হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন তিনি। শুধুমাত্র খড়, ভুসি ও ভুট্টা ও আপেল, কলাসহ প্রতিদিন সাতশত টাকার খাবার খেতে দেওয়া হয় গরুটিকে, করা হয় প্রচুর যত্ন। এ কারণেই সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে ষাঁড়টি বলে দাবি মনিমুল ইসলামের।
মনিমুল ইসলামের ভাই রাসেল বলেন, আমার বড় ভাই গরু ব্যবসার পাশাপাশি এই ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন। ষাঁড়টির পেছনে অনেক শ্রম দিতে দেখেছি তাকে।
স্থানীয়রা জানান, এটি এই জেলার মধ্যে আমাদের দেখা সবচেয়ে বেশি ওজনের ষাঁড়। এতো বড় ষাঁড় আমরা এর আগে কখনো দেখিনি। মনিমুল কে ধন্যবাদ জানাই। গরু ব্যবসার পাশাপাশি গরু পালনেও সফলতা পেয়েছে সে। এর আগে এতো বড় ষাঁড় দেখেননি বলেও জানান স্থানীয়রা।
মনিমুল ইসলাম বলেন, ওর নাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের রুবেল রেখেছি কারণ আমার ছোট ভাইয়ের নাম রুবেল। তাকে ছোট ভাইয়ের মতো ভালোবাসি তাই তার নাম রুবেল রাখা হয়েছে। কৃষি কাজ ও গরু ব্যবসার পাশাপাশি ষাঁড়টি পালন করে এতো বড় করতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এখন বিক্রি করতে পারলেই হলো। ষাঁড়টিকে এতো বড় করতে পারবো সেটা কখনোই ভাবিনি।’
পা থেকে মাথা পর্যন্ত ধপধপে সাদা ষাঁড়টির বয়স যখন নয় মাস। স্থানীয় একটি গরুর হাট থেকে ক্রয় করে এনে মনিমুল ইসলাম দুই বছর যাবৎ ষাড়টি লালন পালন করে আসছেন। ষাঁড়টির ওজন ২০ মণ ধারণা করা হচ্ছে। এর দৈর্ঘ্য ১০ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। কোবরানির ঈদে বিক্রির জন্য ধবধবে সাদা রংয়ের রুবেলের দাম হাঁকছেন সাড়ে ছয় লাখ টাকা।