দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বসবাস করছেন অনেকেই। রাজধানীতে কর্মব্যস্ততার চাপ থেকে বের হওয়া মানুষের কাছে ঈদে বাড়ি ফেরা যেন প্রশান্তির ছোঁয়া। তাই ঈদ শুধু উৎসবই নয়, নগরবাসীর কাছে নাড়ির টানে গ্রামে ফেরার আয়োজন। এই স্রোতে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত—কোনো ভেদাভেদ থাকছে না।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শুক্রবার(১৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়। এ সময় দেওয়া হয় রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। টিকিট বিক্রি শুরু করতে না করতেই শেষ হয়ে গেছে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট।
শুক্রবার ১৪ মার্চ সকাল ৮টা ৯ মিনিটের দিকে রেলসেবা অ্যাপসে প্রবেশ করে দেখা যায়, উত্তরাঞ্চলে চলাচল করা নীল সাগর, একতা, চিলাহাটি, কুড়িগ্রাম, দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ৯ মিনিটের মধ্যেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ। একই অবস্থা ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা-খুলনা রুটের ট্রেনের।
আজ ১৪ মার্চ দেওয়া হয়েছে আগামী ২৪ মার্চের অগ্রিম টিকিট। অর্থাৎ, আজকে টিকিট কাটলে ২৪ তারিখে ট্রেনে ঈদযাত্রা করতে পারবেন যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে আজ ১৪ মার্চ। সব মিলিয়ে অনলাইনে প্রায় ৩৩ হাজার ২৫৭টি টিকিট বিক্রি হবে।’
রেলস্টেশন ম্যানেজার আরও বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার ৭৭৩টি টিকিট বিক্রি হবে। টিকিট বিক্রির ৮ থেকে ৯ মিনিটের মধ্যে মোটামুটি সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় টিকিটের সংখ্যা কম হওয়ায় সবাই টিকিট পাচ্ছে না।
আজ শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল ১৫ মার্চ বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চের অগ্রিম টিকিট। পর্যায়ক্রমে ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৬ মার্চ। ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৭ মার্চ। ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৮ মার্চ। ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ।