ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টিসহ ৬৫ পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর। শুধু তাই নয়, মোবাইলে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের খরচেও বাড়তি ভ্যাট বসানো হচ্ছে। নতুন ভ্যাট আরোপের বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়েছে। ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ফলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে নয়, বরং রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের ওপর এই ভ্যাট বৃদ্ধির কোনো চাপ পড়বে না এবং এটি তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
ভ্যাট বাড়ানোর তালিকায় উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলো হলো— জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ/সস, সিগারেট, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পল (স্যান্ডেল), বিমান টিকিট ইত্যাদি। ভ্যাট বাড়ানোর কারণে এসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া তিন তারকা মানের হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলোর ওপর কর বাড়ানো হয়েছে, তবে সাধারণ মানের হোটেল এবং রেস্তোরাঁর ওপর কর বাড়ানো হয়নি।