দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট জিরো পয়েন্ট এবং ভারতীয় হিলি ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার।
পরে তিনি হিলি স্থলবন্দর ব্যবসায়ী, কাস্টমস কর্মকর্তা ও সুধীজনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি ও দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারতীয় সরকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার দুপুর ১২ টায় রাজশাহী থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন। এসময় দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেড ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত কাস্টমস পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের কাছে তাদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় কথা শোনেন। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার হিলি স্থলবন্দর চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় গিয়ে বিজিবি এবং বিএসএফের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থলবন্দরের চলমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে তিনি সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। সেখানে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন, কাস্টমসের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় ঘন্টাব্যাপি আলোচনা করেন। ভারতীয় সীমান্তের বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি পুনরায় বাংলাদেশে হিলি স্থলবন্দরে ফিরে আসেন।
পরে তিনি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড ও হিলি কাস্টমস বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে শেষে সম্মেলন কক্ষে কাস্টমস কর্মকর্তা, বন্দরের ব্যবসায়ীদের আলোচনা করেন। বৈঠকে দুই দেশের আমদানি-রফতানি কাজে সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়ছে। এছাড়া ভিসা জটিলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আলোচনাকালে তিনি বলেছেন, এই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কীভাবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরও গতিশীল করা যায় সে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, রাস্তা সংস্কার, যাত্রী পারাপার বাড়ানো এবং ব্যবসায়ীসহ ভারত গমনে ভিসা জটিলতা দ্রুত নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমার এই সফর ভূমিকা রাখবে। হিলি স্থলবন্দরে বিদ্যমান যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, এগুলোর উন্নয়ন ঘটিয়ে দুই দেশই যেন উপকৃত হয় সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, হিলি স্থলবন্দরে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করে স্থলবন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করা হবে।
এছাড়া ভিসা জটিলতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. নাজমুল হাসান, রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শাফিউল ইসলাম, বাংলাহিলি সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফেরদৌস রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর ইসলাম, আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক, যুগ্ম সম্পাদক এস এম রেজা বিপুল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সুজন মিঞা, হিলি ইমিগ্রেশন ওসি মো. আরিফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী কামাল হোসেন রাজ, জুয়েল হোসেন, নুর ইসলাম, হিলি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ গোলাম রব্বানী সাধারণ সম্পাদক ছামিউল ইসলাম আরিফ সহ অনেকে।
আলোচনা সভা শেষে তিনি ডাকবাংলো গিয়ে দুপুরের খাবার শেষে বিকেল তিনটায় হিলি আমদানি রফতানি কারক গ্রুপ কার্যালয়ে বন্দরের ব্যবসায়ীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। সবশেষে তিনি আবারও রাজশাহীর উদ্দেশ্য রওনা দেন।