সাঈদ হোসেন চৌধুরী বরাবরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে প্রদত্ত ঘোষণাপত্র বাতিল আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল নিশি জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ মার্চ) সাঈদ হোসেন চৌধুরীর করা এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রাজিক আল জলিল এবং বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদি উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক এবং উপস্থাপিত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রেসপন্ডেন্টগণের বিরুদ্ধে এই মর্মে রুল নিশি জারি করেন।
একই সঙ্গে ওই ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক মুদ্রাকর হিসেবে শফিক রেহমানকে দেওয়া ঘোষণাপত্র কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রুলে ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য রেসপন্ডেন্টদের এর জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সাংবাদিক শফিক রেহমানের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ ২০২৫ সাঈদ হোসেন চৌধুরীর বরাবরে থাকা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে ঘোষণাপত্র বাতিল করে সরকার। ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়। এর মাত্র ৬ দিন পর ১৮ মার্চ সাংবাদিক শফিক রেহমানের নামে দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন দেওয়া হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রকাশের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় এই দৈনিকের ডিক্লারেশন বাতিল করে সরকার।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য যে অনুমোদিত প্রেস রয়েছে সেখান থেকে ছাপা হচ্ছে না, কিন্তু প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে মর্মে শফিক রেহমান অভিযোগ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পত্রিকাটি মুদ্রণের ডিক্লারেশন বা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়।
আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা প্রকাশে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল তা বাতিল করা হয়।