হঠাৎ দ্বিগুণ শসা-লেবু-বেগুনের দাম

New-Project-2025-02-28T180557.200.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুনি, শসা ও লেবু। চাহিদা বিবেচনায় এই তিনটি পণ্যের দাম বিক্রেতারা ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছেন। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দ্বিগুণের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু।

বেগুন কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। শসা কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে লেবুর।

এক মাস আগেও লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দ্বিগুণের বেশি দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

শুক্রবার(২৮ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, বাড্ডা ও রামপুরা ও পুরান ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে।

সবজি বিক্রেতা মাহাদী হাসান বলেন, ‘এখন লেবুর অফ সিজন। তাই পাইকারি বাজারেই লেবুর কিছুটা সংকট রয়েছে। শীত মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে বেগুনের সরবরাহও কিছুটা কমে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে।’

তবে বাড়তি চাহিদা তৈরি হলেও এবার অনেকটাই স্থিতিশীল ছোলা, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও চিনির দর। এখনো কাটেনি ভোজ্য তেলের সংকট।

কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস কেজি এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজারের জিহাদ ব্রয়লার হাউসের বিক্রেতা মো. বায়োজিদ বলেন, ‘রোজায় বাড়তি চাহিদার কারণে খামারি পর্যায়েই মুরগির দাম বাড়তি। যার কারণে খুচরা পর্যায়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ কেজি ৪৫ টাকায়, ছোলা কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায়, বেসন কেজি মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, চিনি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, আলু কেজি ২০ টাকায়, দেশি আদা কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, দেশি নতুন রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, আমদানি করা রসুন কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

scroll to top