শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শুরু থেকে দেশ গড়ার প্রয়াস করছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। দুইমাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পরিবর্তন এখনও দৃশ্যমান নয়। এমনকি জুলাইয়ে ছাত্রআন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীও এখনও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছে না। আর এর কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে দোষী মনে করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর সাভারের সিআরপিতে। সেখানে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ছাত্রদের সঙ্গে সাভারের ডগরমোড়া এলাকায় সিআরপি প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। সেসময় সিআরপিতে থাকা আহতদের সঙ্গে কথা বলে নিজের অসন্তোষের কথা জানান সারজিস।
বর্তমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে অ্যাকটিভ উপদেষ্টা হওয়ার দরকার ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার। যিনি অফিস অফিসে করবেন না, যিনি অফিস করবেন হাসপাতালে। যিনি হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে দৌড়াবেন। আমাদের জায়গা থেকে বারবার স্পষ্টভাবে বলেছি, তাঁদের আসলে যেভাবে যতটা অ্যাকটিভভাবে কাজ করার কথা, অতটুকু দেখতে পাই না।”
“আমরা ছাত্র, আমাদের আর্থিক সংকট আছে। আমরা চাইলেই একটা গাড়ি সব সময় পাই না; ব্যবস্থা করতে পারি না। চাইলেই সব সময় টাকার ব্যবস্থা করতে পারি না। এখানে যাঁরা স্বেচ্ছাসেবী আছেন, তাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। তাঁরা পরিবারের সঙ্গে থাকেন না; বাইরে থাকেন। এই জিনিসগুলো (রোগীদের দুর্ভোগ) দেখে থাকতে পারেন না; বিধায় তাঁরা এসেছেন। এই কাজগুলো করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই জায়গাগুলোয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা দৌড়ে বেড়াবেন।”– বলেছেন সারজিস