সৌদি আরবের ৬৫ জন শ্রমিকের বেতনের ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ও তাদের জমানো ৬৫ লাখ টাকা সর্বমোট এক কোটি ৫৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার জহির ও রফিক নামে আপন দুই সহোদর প্রতারক।
মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) বিকেলে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে এ তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগীদের নিকটাত্মীয় ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব ভাণ্ডারিয়া গ্রামের সুখরঞ্জন দাসের ছেলে সাগর দাস।
সাগর দাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাবুল দাস ও অধীর দাস নামে তার দুই কাকা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব থেকে শ্রমিকের কাজ করার পাশাপাশি শ্রমিকদের সর্দারের কাজ করে আসছিলেন। সেই সুবাদে মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নের বুখাইতলা বান্ধব পাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার জহির ও রফিক নামে আপন ২ সহোদরের সাথে ঘনিষ্ট ভাবে পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বাবুল দাসের সাথে জহির ও রফিক নামে ২ প্রতারক পার্টনার হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিলে দেশী লোক হিসেবে সুবিধার জন্য আমার কাকারা তাদের প্রস্তাব মেনে নেন।
কিছুদিন ভালোভাবে কাজ ও লেনদেন করলেও চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ৬৫ জন শ্রমিকের বেতনের বাংলাদেশী মূল্যের ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা শ্রমিকদের মাঝে বন্টন করে দেওয়ার জন্য আমার ছোট কাকা অধির দাস প্রতারক জহির ও রফিকের হাতে তুলে দেন এবং তাদের কাছে আমার ০২ কাকা আমানত হিসেবে ৬৫ লাখ টাকা রেখেছিলেন। সর্বমোট ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা নিয়ে তারা আত্মগোপনে যায়, বর্তমানে আমার দুই কাকা সৌদি আরবে ৬৫ জন শ্রমিকের বেতনের টাকা দিতে না পারার কারণে মারাত্মক চাপে ও অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগীদের নিকটা ত্মীয় লিটন দাস ও হৃদয় দাস। অভিযুক্ত প্রতারকরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।