সোনারগাঁয়ে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই বন্ধু
মহাসড়কে দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে নেই তেমন সচেতনতা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গাড়ির ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনাটি ঘটে মহাসড়কের টিপুরদী এলাকায় ।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ।
নিহতরা হলেন, রাজধানীর নন্দীপাড়া এলাকার কামরুজ্জামান টুটুল (৪১), যিনি একজন ব্যবসায়ী এবং হাবিব (৩৯), যিনি ফিনল্যান্ড প্রবাসী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, কামরুজ্জামান টুটুল ও হাবিব মোটরসাইকেলে সোনারগাঁয়ে ঘুরতে আসেন। ঘুরাফেরা করতে করতে রাত হয়ে যায়। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় বাসায় ফিরবে। রাত ১০টার দিকে তারা বাসায় ফেরার পথে টিপুরদী এলাকায় পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে মোটরসাইকেলটি উল্টে গিয়ে দুই বন্ধু মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই টুটুলের মৃত্যু হয় অন্যদিকে হাবিবকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানিয়েছেন, তারা সোনারগাঁয়ে বেড়াতে এসে মেঘনা নদীতে গোসল ও সোনারগাঁ যাদুঘর ঘুরে রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন।
তবে এ ঘটনায় গাড়ির চালক ও হেলপারকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনা
নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কের শ্যামগঞ্জ এলাকায় সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাসের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে শ্যামগঞ্জ হাইওয়ের জমজম তেলের পাম্পের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মোটরসাইকেল চালক মো. আবুল কালাম (বগীরপাড়া, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ), আলী হোসেন (পিতা: আব্দুল আলী, গ্রাম: জিগাতলা, কমলাকান্দা, নেত্রকোনা) এবং মোছা. জুলফা (পিতা: আলী হোসেন, গ্রাম: জিগাতলা, কমলাকান্দা, নেত্রকোনা)। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. নান্নু খান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন জব্দ করে থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হলে সড়ক দূঘটনা কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব।