সুন্দরবনের কলমতেজী এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রনে এলেও একুশের ছিলা এলাকায় নতুন করে আগুন লেগেছে। রোববার (২৩ মার্চ) সকালে কলমতেজী টহল ফাঁড়ি এলাকার আগুন লাগা স্থান থেকে ড্রোন উড়িয়ে নতুন এলাকায় ধোয়ার কুন্ডলী দেখতে পাওয়া গেছে।
তাৎক্ষণিকভাবে বন বিভাগ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কলমতেজী থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একুশের ছিলা এলাকায় ছুটে যান। নতুন করে লাগা আগুনের স্থানে ফায়ার সার্ভিস বন বিভাগ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা পৌঁছালেও পানি ছিটানো শুরু করতে পারেনি। যেখানে আগুন লেগেছে সেখান থেকে পানি উৎস অর্থাৎ খালের দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটার। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে তা খুবই দুর্গম হওয়া এবং গাছপালায় জড়ানো থাকার কারণে পানি সরবরাহের পাইপ টানতে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও বনরক্ষীদের।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) সাকরিয়া হায়দার বলেন, বাগেরহাট, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ নিয়ে মোট পাঁচটি ইউনিট সুন্দরবন সংলগ্ন ভোলা নদীর তীরে অবস্থান করছে। সব প্রক্রিয়া শেষে যত দ্রুত সম্ভব পানি সরবরাহ শুরু করা হবে।
এর আগে শনিবার সকালে কলমতেজী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা বন বিভাগকে জানায়। দুপুর থেকে বন বিভাগ, সিপিজি, ভিটিআরটি, টাইগার টিমের শত শত লোকজন কাজ শুরু করে। বিকেলের মধ্যে ফায়ার লাইন কাটা শেষ করে বন বিভাগ। শনিবার রাত ৯টা থেকে বন বিভাগের নিজস্ব পাম্প ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি দেওয়া শুরু করে। রাতভর চেষ্টায় আগুন নির্বাপনে সক্ষম হয় বন বিভাগ।
আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দ্বীপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান ও
বনভূমির ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, বনরক্ষীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতভর কাজ শেষে আমরা কলমতেজী এলাকার আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি। তবে নতুন করে যে আগুন লেগেছে সেখানে আমাদের বনরক্ষীরা পৌঁছেছে। ফায়ার লাইন তৈরিতে কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব পাম্পের মাধ্যমে পানি ছিটানো হবে।