তাতিমের অর্ধশতকে মাত্র ১৬ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেন বরিশাল। দলীয় ২২ রানে তাওহিদ রিদয়কে হারিয়ে কিছুটা চাপে পরে বরিশাল । তারপর ক্রিজে আসেন মারকুটে ব্যাটার ডেভিড মালান যদিও এদিন ভালো করতে পারেনি মালান ফিরে যান মাতর ৮ বলে ৯ রান করে। তারপর ই পাল্টে যায় খেলার চিত্র মাঠে আসেন মি.ডিপেন্ডেবল মুসফিকুর রহিম ৩০ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।সিলেটের হয়ে ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সুমন মিয়া ও ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম।
ফলে ২ উইকেটে ১২০ রান করে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌছে যান বরিশাল। এতে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করে দলটি ।তাদের সামনের লক্ষ্য সেরা ২ নাম্বারে থেকে লীগ পর্ব শেষে করা।প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন ৭ রানে ৫ উইকেট নেয়া ফাহিম আশরাফ।
অন্যদিকে ক্রিকেটারদের একের পর এক ইঞ্জুরিতে একাদশ সাজাতেই হিমশিম খাচ্ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। যার জেরে একাদশে ৩ বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে নামতে হয়েছিল দলটিকে। ফলে ভাটা পরেছে দলের শক্তিতেও তা আরো পরিষ্কার হয়েছে দলটির ব্যাটিংয়ে। গত আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টস জিতে অধিনায়ক আরিফুল হক ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১১৬ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট।
দলীয় মাত্র ৭ রানে জর্জ মানসিকে হারিয়ে চাপে পরে দলটি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট।পাকিস্তানের আহসান ভাট্টি ২৯ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ বলে ২৪ রান করেন জাকের আলী অনিক।এছাড়া ২ অঙ্কের ঘরে পৌছাতে পেরেছে মাত্র ২ জন ৮ বলে ১৩ রান করে তানজিদ হাসান সাকিব,১৩ বলে ১২ রান করেন অধিনায়ক আরিফুল।বাকির মানসি ৭ বলে ৪ রান,রনি তালুকদার ৯ বলে ৯ রান, জাকির হাসান ৫ বলে ৪ রান,কাদেম অ্যালোপইন ২ বলে ডাক,নাহিদুল ইসলাম ৮ বলে ৮ রান,সুমন খান ৭ বলে ৭ রান রুয়েল মিয়া ২ বলে ১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
বরিশালের পাকিস্তানি ক্রিকেটার ফাহিম আশরাফ মাত্র ৭ রানের তুলে নেন ৫ উইকেট । দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী ও জেমস ফুলার। ১ টি উইকেট পান রিসাদ হোসাইন।
