সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে নৌযান শ্রমিকরা ইউরিয়া সারবাহী জাহাজের ঘুমন্ত ৭ নাবিককে গলাকেটে হত্যার প্রতিবাদ সহ ৪ দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী ইউরিয়া সারবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আল বাখেরায় হামলা চালিয়ে ঘুমন্ত ৭ নাবিককে হত্যার সাথে জড়িত সকল খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিহতদের পরিবারকে ২০লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও চট্টগ্রাম-বাঘাবাড়ি নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বাঘাবাড়ি শাখার শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। মিছিলটি বাঘাবাড়ি নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে নৌবন্দরের বিভিন্ন সড়ক ও মোড় প্রদক্ষিণ করে।
বক্তারা বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর রবিবার রাতে ঘনকুয়াশার কারণে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের অদূরে মেঘনা নদীর মাঝেরচর এলাকায় নোঙ্গর করে রাখা বাঘাবাড়ি নৌবন্দরগামী ইউরিয়া সারবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আল বাখেরায় হামলা চালিয়ে ঘুমন্ত ৭ নাবিককে হত্যার সাথে জড়িত সকল খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিহতদের পরিবারকে ২০লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও চট্টগ্রাম-বাঘাবাড়ি নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাঘাবাড়ি নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যহত ভাবে পালন করবে। এ সময়ের মধ্যে যদি সরকার তাদের এ দাবী পূরণ না করে তবে তারা ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সকল যৌযান চলাচল বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করবে। এছাড়া এই একই দাবীতে বুধবার বিকেলে নৌযান শ্রমিকরা বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের পাশাপাশি পাবনার আমিনপুর থানার নগরবাড়ি নৌবন্দরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে বলে বক্তারা ঘোষণা দেন।